কলারোয়া উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণে স্থবিরতা, মুসুল্লিদের ভোগান্তি
জাকির হোসেন, কলারোয়া: কলারোয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণে স্থবিরতা। প্রায় বছর তিনেক ধরে নামাজ আদায়ে মুসল্লি¬দের সীমাহীন দুর্ভোগ। দ্রুত সময়ে মধ্যে কাজ শুরুর দাবী উঠেছে মুসুল্লীদের মাঝে। দেশব্যাপি প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মোট ৫শ ৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কলারোয়া উপজেলায় নির্মাণের শুরুতেই কাজের স্থবিরতা দেখা দেয় মডেল মসজিদের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিছু নির্মান সামগ্রী নির্মিত স্থানে দীর্ঘদিন ফেলে রেখেই দায় সেরেছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। উপজেলা পরিষদ কমপ্লে¬ক্সে মসজিদ নামে খ্যাত পুরাতন মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা কয়েক শতাধিক ছিলো। প্রকল্প অনুমোদিত নতুন নকসায় মসজিদটি নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়। ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট এই কমপে¬ক্সের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সমাপ্তি হওয়ার সরকারি ঘোষণা ছিলো।
জাহিদুল ইসলাম নামের একজন মুসুল্লি জানান, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার মুসুল্লি¬রা এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলায়, নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে উপজেলা অফির্সাস ক্লাবের সামনে অস্থায়ী ভাবে নির্মিত একটি জরাজীর্ণ ভবনে। ভবণটি এমন ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। এমনকি পানি পড়া বন্ধ করতে হাড়ি. পাতিল মেঝেতে পেতে রাখতেও দেখা যায়। কক্ষটি ছোট হওয়ায় নামাজ আদায়ে মুসল্লি¬দের ভোগান্তি হচ্ছে। জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় তাঁবু টানিয়ে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি নামলে মুসুল্লিদের ভিঁজে নামাজ আদায় করতে হয়। মুসুল্লিদের জন্য ওজুখানা নির্মিত হলেও অপ্রতুলতার কারনে সেখানে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সিরিয়াল দিয়ে ওজু করতে যেয়ে অনেক মুসুল্লি জামাত ফেল করার উপক্রম হয়। প্রসাব খানা এবং পায়খানা ঘরের অবস্থা আরও শোচণীয়। পায়খানা ঘরে ঢুকলে বমি করতে করতে বের হওয়া ছাড়া কোন পথ থাকে না। শত শত মুসুল্লিদের জন্য মাত্র দুইটি প্রসাব খানা থাকায় সেখানেও মুসুল্লিদেরকে সিরিয়াল দিতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় কিছু কিছু বয়স্ক মুসুল্লিদের কাপড়ে প্রসাব হওয়ার গুঞ্জনও শুনতে পাওয়া যায়।
কোন কারণে নির্মাণাধিন মসজিদ কমপ্লে¬ক্স এর কাজ শুরুতে বন্ধ হয়ে গেল এর জবাব মিলছেনা কোন দপ্তরে। সূত্র মতে কলারোয়া উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মানের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হন, যশোরের হাসান এন্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজ শুরু না করার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সময়মত জমি বুঝে না পাওয়ার কারনে কাজ শুরু করতে দেরী হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা নির্মান কাজ শুরু করব। এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াৎ মো: শায়খুল আজম জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ শুরু করতে দেরি করেছে। তবে আশা করছি অতি অল্প সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু লক্ষ করা যাবে।