৫৮-তে পা রাখলেন জেমস
ফারুক মাহফুজ আনাম জেমসের ৫৮ তম জন্মদিন ছিলো গতকাল রোববার। ১৯৬৪ সালের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন জেমস। গানের কথায় ভিন্নতা ও কাব্যধর্মী শব্দের আধিক্য আর সকল কণ্ঠশিল্পীদের থেকে আলাদা করে ফেলে। যার কারণে জেমসের গানের আলাদা বৈশিষ্ঠ তৈরি হয়ে যায়। নব্বইয়ের দশকে একটা বিশেষ তরুণ শ্রেণীর হৃদয় দখল করলেও শূন্য দশকের পর থেকে জেমসের গ্রহণযোগ্যতা সর্বত্র তৈরি হয়। জেমসের জন্ম নওগাঁর পতœীতলায়। তবে কৈশোর,তারুণ্য কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে। বাবা সরকারি বড় কর্মকর্তা হলেও তিনি ছিলেন ছন্নছাড়া। চট্টগ্রামে আজিজ বোর্ডিং এর একটি রুমে থেকে সঙ্গীত চর্চা ও সন্ধ্যার পরে নাইটক্লাবে গান করতেন। এভাবেই জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে। পরে ঢাকা চলে আসেন। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাইকিডেলিক রক শুরু করেন।
বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতে কাজ করার কারণে পশ্চিম বঙ্গেও খুব জনপ্রিয় ছিলেন জেমস। সেই সূত্রে ২০০৪ সালে বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সাথে মিলিত হন তিনি। ২০০৫ সালে বলিউডের গ্যাংস্টার নামক একটি চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় তা বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে তিনি ও লামহে নামক চলচ্চিত্রে “চল চলে” গানে কণ্ঠ দেন।
২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে আবারও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হলো রিশতে এবং আলবিদা (রিপ্রাইস)। সর্বশেষ হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেছেন ওয়ার্নিং নামক চলচ্চিত্রে। তার গাওয়া বেবাসি গানটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া ব্যান্ডদল ফিলিংস এর মাধ্যমে তিনি প্রথমে খ্যাতি অর্জন করেন। পরে সেই ব্যান্ড দলের নাম নগর বাউল করেন। এ ছাড়া জেমস রেড ডট এন্টারটেইনমেন্ট নামক একটি প্রডাকশন হাউস পরিচালনা করেন।