আবু সাঈদ: দিন দিন বাড়ছে চোখ ওঠা বা চোখের প্রদাহ রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। জেলার প্রত্যেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। স্থানীয় হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতিনিয়ত বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। দেখা দিয়েছে চোখে ব্যবহারের ড্রপ সংকট। চিকিৎসকরা বলছেন, গরম আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ প্রদাহ। সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াছে ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মীর মাহফুজ আলম (বিসি এস) বলেন, আউটডোরে দেখানো রোগীর ৪০ শতাংশই কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত।
এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশসহ জামা কাপড় অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখের কোনায় ময়লা জমে। চোখ ফুলে যাওয়াও চোখ ওঠার লক্ষণ। চোখ খুব বেশি লাল হলে, চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, চোখ ওঠা রোগকে আমরা ভাইরাস কনজাংটিভাইটিস বলে থাকি। এটা সিজনাল রোগ। গরমে এই রোগ বেশি হয়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাস ইনফেকশন হচ্ছে। এবিষয়ে সকলে পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকলে এই রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।