এফএনএস:বাণিজ্যে শিগগির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। চলতি মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে ধস নেমেছে তা দু-এক মাসের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে ‘ম্যান-মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালুচেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার যে এত বড় তা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। শঙ্কার বিষয় হলো, আমরা এ বাজারে অনেক পিছিয়ে। অতি দ্রুত আমরা যদি এখানে ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের এখন যে কটন অ্যাডভান্টেজ আছে, সেটা হয়তো টিকবে না। বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন বা কাপড় তৈরি করা হয়, সেগুলোতে আরও কিছু বিনিয়োগ করলেই কৃত্রিম তন্তুর উৎপাদন শুরু করা যাবে। কীভাবে কম শুল্কে এ তন্তু তৈরির যন্ত্র বা মূল উপকরণ আনা যায়, তা নিয়ে উপর মহলে আলোচনা চলছে।
আশা করছি, একটা ভালো ফলাফল আসবে। রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, রপ্তানি কমার বিষয়টিতে আমিও ধাক্কা খেয়েছি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এ খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে। কেন এমন হয়েছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না, কোথায় চাহিদা রয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ যতই চলুক, খুব শিগগির তৈরি পোশাক খাত নিজের পথ খুঁজে পাবে। ম্যান-মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইন্সেন্টিভ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি ইন্সেন্টিভ দেওয়ার কেউ না। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে বসে এনবিআর বিষয়টি ঠিক করবে। তিনি বলেন, আমি ইন্সেন্টিভ দেওয়ার পক্ষে। তবে আমার মতে এটির বাজার ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেলো- এমন হওয়া উচিত না। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।